স্বার্থপর পরী গল্প ৪
স্বার্থপর পরী গল্প
পর্ব-৪
-
পরের দিন কলেজে গেলাম যেয়ে দেখি মিথিলা নুসরাত আর কয়েকটি মেয়ে কলেজ ক্যাম্পাস এ বসে আছে।
আমি একটা মেসেজ দিলাম।
মিথিলা কোথায় তুমি দোতালা বাংলা ক্লাস এর বারান্দায় আসো।
মিথিলা-আচ্ছা আমি আসতেছি।
সাগর মিথিলাকে কি বলবো কেমন যেন লাগছে।
সাগর-আরে ভয় পাচ্ছিস কেনো আমি আছি।
আমি-হুম আমি তো ওর সাথে কখনো ডাইরেক্টলি দেখা করিনি।
৫ মিনিট পর মিথিলা আসলো ওইতো আসতেছে আমার হাটু কাপতে ছিল।
মিথিলা-তুমি জয় তাইনা।
আমি-হুম কেমন আছো তুমি।
মিথিলা-ভালো আছি ক্লাস এর টাইম হয়ে গেছে ক্লাসে জাই।
আমি-হুম যাও।
-
মিথিলা ক্লাসে চলে গেল।সাগর এখন ওদের কোন ক্লাস?
সাগর-ইংরেজি ক্লাস কেনো?
আমি-চল ফাস্ট ইয়ার এর ক্লাস করবো আজকে।
সাগর-স্যার যদি কিছু বলে।
আমি-স্যার কি বলবে মেনেজ করে নিবো চল।
তারপর আমি সাগর আর সাকিল ওদের ক্লাসে প্রবেশ করলাম।
মিথিলাদের পিছের ব্রেঞ্জে বসলাম।স্যার আসলো ক্লাসে।
হঠাৎ একটি মেয়ে বলে উঠলো সার সেকেন্ড ইয়ারের ভাইয়ারা ক্লাসে আসছে।
স্যার-কে কে আসছো দেখি দারাও।
আমরা তিনজন দারিয়ে গেলাম।জি সার আমরা আজকে মিঠন স্যার আসেনি তাই ভাবলাম আপনার ক্লাস করি।
স্যার-হুম তোমাদের তো ফাস্ট ইয়ারে খুব একটা ক্লাসে দেখিনি মনোযোগ দিয়ে ক্লাস করো।
আমরা সবাই আচ্ছা স্যার ঠিক আছে।আর যে মেয়েটা বললো স্যার কে সে অনেক রাগি লুক নিয়ে তাকালো।
মিথিলাকে মাসেজ দেই একটা।
আমি-মনোযগ দিয়ে ক্লাস করো এতো হাসছো কেনো।
মিথিলা-আপনারা পারেন ও হা হা হা।
তারপর মেসেজ দিলাম আর রিপ্লাই করতেছে না।ওই শুনো ডাকদিলাম তবুও তাকাইতেছেনা পরে খাতার পেইজ ছিরে ঢিল মারলাম।
মিথিলা-ইশারায় কি হইছে?
আমি-মেসেজ চেক করো।মেসেজ দিলাম এই ক্লাস শেষে পরের ক্লাস কইরোনা কথা বলবো।
আবার কোন রিপ্লাই নাই ঢিল মারলাম,আরে ধ্যাত অন্য একটা মেয়ের ঢিল টা লাগছে।
মেয়েটা দারিয়ে রাগি লুক নিয়ে বলছে স্যার ওরা পিছনে থেকে ঢিল মারতেছে অনেক ডিস্টার্ব করছে।
-
স্যার-এই তোমাদের বললাম ভালো মতো ক্লাস করতে আর তোমরা নিজেরা তো ক্লাস করছোনা আবার অন্যকে ডিস্টার্ব করছো এখনি বের হও।
-
তারপর আমরা বের হয়ে গেলাম। কিছুক্ষণ পর ক্লাস শেষ হলো মিথিলা বের হলো হল রুমে চলে গেল।আমিও নিচে ক্লাস রুমে চলে গেলাম।বসে আছি হঠাৎ দেখি মিথিলা আর নুসরাত আসলো।
নুসরাত-জয় ভাইয়া কেমন আছেন।
আমি-এইতো ভালো আছি তুমি কেমন আছো।
নুসরাত-এইতো ভাইয়া ভালো,আপনারা কথা বলেন সোহাগ ফোন দিচ্ছে কথা বলি।
আমি-আচ্ছা ঠিক আছে।
তারপর আমি আর মিথিলা পাশাপাশি বসলাম।আমার অন্য একটা অনুভূতি কাজ করতেছে আমিতো ঘেমে জাচ্ছি কোনদিন এমন ভাবে কোন মেয়ের পাশে বসিনি।
-
মিথিলা-কি হলো কিছু বলোনা কেনো।
আমি-কি বলবো তুমি বলো।
মিথিলা-আপনি অনেক ভালো,আর আমার অনেক ভালোফ্রেন্ড হয়ে গেছেন।
আমি-হুম এতদিন ভাবছিলাম আমার কপাল খারাপ না কপাল তো দেখছি ভালো কোন পরীর ভালো ফ্রেন্ড হতে পেরেছি।
মিথিলা-কি আমি পরি হাসাবেন না প্লিজ।
আমি-সত্যিই তুমি অনেক সুন্দর পরী না হলেও তুমি একটা মানুষ পরী।
মিথিলা-আগে জানতাম না তো আমি মানুষ পরী।
আমি-আগে থেকে পরিচয় হলে জানতে পারতা।
মিথিলা-আচ্ছা শুনো ক্লাস করবো সব গুলা আর মিস করবোনা কলেজ ছুটি হলে অপেক্ষা কইরো এক সাথে যাবো।
আমি-আচ্ছা ঠিক আছে।
-
তারপর ক্লাস করলাম আমিও বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিলাম ২ টা বেজে গেছে কলেজ ছুটি হলো আমি আর সাগর গেইটের সামনে দারালাম।ওইতো পরি আসছে।
আমি-চলো রিক্সায় উঠে যায়।(আমাদের কলেজ থেকে ৫ মিনিট এর পথ ওইখান থেকে গাড়িতে উঠে বাসায় যেতে হয়)
মিথিলা-না আমার হেটে যেতেই ভালো লাগে আর যে রাস্তার আবস্থা।
আমি-হুম তাহলে চলো হেটে যাই।
তারপর আমি,সাগর,মিথিলা,আর নুসরাত হেটে জাচ্ছি।আমি আর মিথিলা সামনে সামনে হাটতেছি বললাম নুসরাত আর সোহাগ এতো কি কথা বলে ওরাই প্রেম করে সারাদিন ওদের থেকে শিখতে হবে।
মিথিলা-হুম আমিও এতো কথা বলতামনা।
আমি-তাই নাকি ভালো।
-
তারপর বাজারে আসলাম গাড়িতে উঠবো এই টাইমে দেখি মিথিলা ফার্মেসি তে যাচ্ছে আমিও গেলাম ও ৫ টি ঘুমের ওষুধ নিলো।আমি বললাম কার জন্য মিথিলা হেসে বললো আমার জন্য।
তারপর গাড়িতে উঠলাম সাগর কে বললাম চিপস নিয়ে আই।সাগর চিপস নিয়ে আসলো।মিথিলা আর নুসরাত কে দুই প্যকেট দিলাম আর আমরা নিলাম।মিথিলা একটা চিপস বের করে নুসরাত কে খাইয়ে দিল।আমি বললাম ওকে খাওয়ানোর মানুষ আছে আমার তেমন কেও নাই।মিথিলা হাসতে হাসতে আমাকে একটা চিপস খাইয়ে দিল।আমিও ওকে খাওয়ায় দিলাম।মিথিলা আর নুসরাতের গাড়ি থেকে নামার সময় হলো আমি ওদের ভাড়া দিতে দিলাম না আনেক জোরাজোরি করলেও।তারপর আমার পরী নেমেই একটা হাসি দিল উফফ তুমি ছুয়ে দিলে হায় আমার কিযে হয়ে যায়,,আমার পরীটার হাসি এতো সুন্দর কেন আমিতো পাগল হয়ে যাবো আমি না সবাই পাগল হওয়ার মতো হাসি।
তারপর গাড়ি থেকে নেমে বাসায় যাচ্ছি।আর ভাবতেছি পরী এতগুলো ঘুমের ওষুধ কেনো নিলো।অনেক টেনশন হতে লাগলো।আমার পরীর এতো কষ্ট কিসের,আমি থাকতে ওকে কষ্ট পেতে দিবোনা কখনো।জানতে হবে কেনো ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমাই।
কিছু ভালো লাগছেনা।বিকেল থেকে টেনশন রুমের মধ্যেই আছি আম্মু ডাকল।
আম্মু-কলেজে থেকে এসে কিছু খাইলিনা আই খেয়ে নে এখনি।
আমি-হুম যাও আমি আসছি।
-
তারপর খাবার খেয়ে নিলাম।মনের মধ্যে শান্তি পাচ্ছিনা।রাত ৯ টা বাজে পরীর সাথে কথা বলতে হবে আর সবকিছু জানতে হবে।
কল দিলাম পরীকে বাট ধরলো না।কি ব্যাপার ফোন ধরলোনা কেনো।কিছুখন পরে পরীকে ফোন দিলাম।
-
আমি-হ্যালো পরী টা কি করছে।
মিথিলা-খাচ্ছিলাম তো তাই ফোন ধরতে পারিনি,এখন শুয়ে আছি।
আমি-হুম আমার কিছু কথা আছে তোমার সাথে আমি সবকিছু জানতে চাই।
মিথিলা-আচ্ছা সব বলবো বলো কি জানতে চাও।
আমি-আচ্ছা তুমি............
পরীর কাছে ঘটনা শুনে তো অনেক কষ্ট পাইলাম।
-
চলবে...
-
আপনাদের যদি ভালোলেগে থাকে অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না,যদি ভালো না ও লেগে থাকে জানাবেন প্লিজ,লাইক কমেন্ট দিয়ে সাথে থাকবেন।আপনাদের ভালোলাগার গুরুত্ব দিয়েই পরবর্তী পর্ব নিয়ে হাজির হবো।
-
ধন্যবাদ।