স্বার্থপর পরী গল্প ৬
স্বার্থপর পরী গল্প
পর্ব-৬
-
মিথিলা-আসলে জয় আমি সরি রিলেশন করা সম্ভব না।
আমি-কেনো কি হয়েছে।
মিথিলা-দেখো আমি তো একটা রিলেশন করতাম,তাছারা আমি তোমার ফ্রেন্ডই বেটার আছি জি,এফ না,তুমি আমার থেকে ভালো কাওকে পাবা।
আমি-তোমার সবকিছু যেনেও আমি তোমাকে ভালোবাসতে চাই।আর আগে থেকেই আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।
মিথিলা-সব যেনেও কি তুমি আমাকে বিয়ে করতে পারবা।
আমি-হুম পারবো,অবশ্যই পারবো।
মিথিলা-তুমি একটা পাগল।
আমি-তুমি একটা পাগলি।
মিথিলা-আই লাভ ইউ।
আমি-আই লাভ ইউ টু সারাজীবন আমার থাকবে তো।
মিথিলা-হুম আমি শুধু তোমারই।
আমি-আর একটা কথা তুমি কোনো ঘুমের ওষুধ খাবা না।
মিথিলা-আচ্ছা খাবোনা।
আমি- ওকে আমার লক্ষী পরী এখন ঘুমিয়ে পড় অনেক রাত হয়ছে কালকে কলেজে কথা হবে।
মিথিলা-ওকে বাই গুড নাইট।উম্মাহহহ।
আমি-উম্মাহহহ সোনাপাখি।
-
পারমানেন্টলি পরীটা আমার হলো।সারাজীবনের জন্যই চাই আমার পরী টাকে অনেক ভালোবাসি ওর মধ্যেই আমার সুখ শান্তি খুজে পাই।
সকালে ঘুম থেকে উঠে কলেজে যাওয়ার জন্য রেডি হলাম।৯ টার পর কলেজে ঢুকলাম দেখি পরী ওর ক্লাসে চলে গেছে।আমিও আমার ক্লাসে চলে গেলাম।ক্লাস শেষ হলো তারপর পরিকে বললাম এখন কথা বলবো ক্লাস টা মিস দাও মেসেজ করলাম।
তারপর পরি আমি একটা ক্লাস রুমে বসে ছিলাম ও আসল।
আমি অনেক লজ্জা পাচ্ছিলাম পরীও অনেক লজ্জা পাচ্ছে।
-
আমি-বসো এত লজ্জা পাইলে বিয়ের পর বেবি হবেনা।
পরি-হাহাহা,,,তোমার দেখতেছি একটুও লজ্জা নাই।
আমি-হুম লজ্জা নারীর ভূষন,ছেলেদের নয় বুঝলা পরী।এখন বসো।
মিথিলা-হুম,তারপর কেমন আছো।
আমি-এইতো আগের থেকে অনেক ভালো,তুমি?
মিথিলা-সেইম টু ইউ।
আমি পরীর হাতে হাত রাখতেই পরীটা কিছুটা কেপে উঠল।
বললাম পরী তোমার এই হাত টা সারাজীবন এভাবেই ধরে রাখতে চাই।
মিথিলা-হুম আমিও তোমার হতে চাই সারাজীবন এর জন্য।
তারপর পরীর হাতে একটা কিস করলাম উম্মাহহহ।পরী তো লজ্জায় লাল হয়ে গেল একটা দোড় দিয়ে চলে গেল কমন রুমে।
সাগর-কিরে কি অবস্থা তোকে তো আর পাওয়ায় যায়না খুব প্রেম করতেছিস।
আমি-আরে না কি অবস্থা তোদের।
সাগর-এইতো ভালো,চল এখন আড্ডা দিবো তুই আজকে ট্রিট দিবি।
আমি-কিসের ট্রিট দিবো আমি।
সাগর-কেনো প্রেম করতেছো একা একা ট্রিট দিবেনা তাই কি হয়।
আমি-আচ্ছা চল সবাই কফি শপে আজকে আমি তোদের স্পেশাল ভাবে ট্রিট দিবো।
তারপর ওরা যে যা খাইতে চাইল অডার দিলাম।খাওয়া শেষ করে পরীর জন্য ২০ টা চকোলেট নিলাম,১০ টা ডেইরি মিল্ক,১০ টা পিনাট।তারপর কলেজে গেলাম কলেজ ছুটির পর পরি আর আমি একসাথে হাটতেছি।আমি ব্যাগ থেকে চকোলেট গুলা বের করে ওর হাতে দিলাম ও বললো এতো চকোলেট আমি নিবোনা।পরী তো নিলই না,পরে আমি জোর করে ওর ব্যাগে পুড়ে দিলাম।
মিথিলা-নেক্সট টাইম যেন এমন না হয় তাহলে কিন্তু আমি অনেক রাগ করবো।
আমি-আচ্ছা সোনাপাখি আই এম সরি।
মিথিলা-থ্যংকস।
আমি-ওয়েলকাম।হাতটা একটু ধরি।
মিথিলা-এই বাজারের মধ্যে হাত ধরবা খুব সাহস হয়েছে।
আমি-হুম দেখবা,বলেই আমি হাত ধরে হাটতে লাগলাম।
মিথিলা-কেও দেখলে কি বলবে।
আমি-বললেই কি আসে জায়,ভালোবাসি।
মিথিলা-হুম এখন চলে আসছি গাড়িতে উঠতে হবে।
আমি হাতটা ছেড়ে গাড়িতে উঠে পরলাম দুজনেই।
আমি-মিথিলা কালকে তো কলেজে আসতে পারবোনা।
মিথলা-কেনো?
আমি-কালকে একটু কাজ আছে তাই।তোমাকে দেখতে পারবোনা অনেক মিস করবো।
মিথিলা-আচ্ছা তাহলে ফোনে কথা বলবো।
তারপর ওর বাসার সামনে চলে আসল নেমে পড়ল।নামার পর সুন্দর করে একটা হাসি দিলো আর চোখ টিপ দিলো।উফফফ আমি তো পাগলই হয়ে জাবো এতো সুন্দর কেনো আমার পরীর হাসি।
বাসায় চলে আসলাম রাতে অনেক কথায় বললাম ওর সাথে পরের দিন সকালে উঠে আম্মুকে নিয়ে হসপিটালে গেলাম ১২ টার দিকে হসপিটাল থেকে বাসায় আসলাম।মিথিলাকে একটা মেসেজ দিলাম অনেক দেখতে ইচ্ছা করছে।
মিথিলা-একদিন না দেখলে কি হয় শুনি।
আমি-ঘুম হয়না,ঠিকমতো খাইতে ইচ্ছা হয়না,কিছু ভালো লাগে না।
মিথিলা-এতো ভালোবাসো কেন পাগল।
আমি-আমার পাগলিটাকে ভালোবাসবো না তো কাকে ভালোবাসবো শুনি।
মিথিলা-আচ্ছা বাবু এখন বাই ক্লাসে যাবো উম্মাহহহ।
কিছুই ভালো লাগছেনা খুব দেখতে ইচ্ছা করছে।মনটা অনেক খারাপ।
-
না ওকে তো দেখতেই হবে,,,,,,,
-
চলবে...
-
আপনাদের যদি ভালোলেগে থাকে অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না,যদি ভালো না ও লেগে থাকে জানাবেন প্লিজ,লাইক কমেন্ট দিয়ে সাথে থাকবেন।আপনাদের ভালোলাগার গুরুত্ব দিয়েই পরবর্তী পর্ব নিয়ে হাজির হবো।
-
ধন্যবাদ।