স্বার্থপর পরী গল্প ১০
স্বার্থপর পরী গল্প
পর্ব- ১০
-
তারপর আব্বুর কাছে থেকে টাকা নিয়ে একটা ব্যবসা শুরু করলাম।আর এইদিকে মিথিলার আপু ওর আম্মুর সাথে কথা বলে সব কিছু মেনেজ করে ফেলেছে।মিথিলার আপু আমাকে ৬ মাস সময় দিয়েছে এই ৬ মাস উনি মেনেজ করে রাখবে তারপর মিথিলা আর আমার বিয়ে।ভালোই হলো আপুটার জন্য এই ৬ মাসে আমার ব্যবসা টা ও অনেক এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
অবশেষে আমাদের ভালোবাসা পূর্ণতা পাবে।মিথিলার সাথে খুব একটা কথা বলা হচ্ছে না কয়েকদিন হলো নতুন ব্যবসা তো একটু মেনেজ করতে হচ্ছে।ঠিক মতো কলেজে যেতে পারছিনা।সামনে আবার পরিক্ষা। প্রাইভেট পরতে হচ্ছে,ব্যবসা সামলাতে হচ্ছে অনেক ঝামেলা লাগছে সবকিছু,তারপরেও আশা একটাই মিথিলাকে সারাজীবনের জন্য আমার করে নিবো।অনেক ভালোবাসি আমার পরী টাকে।
-
মিথালা কে কল দিলাম।
-
মিথিলা-আসসালামু আলাইকুম,,,,,,।
আমি-ওয়ালাইকুম আসসালাম।আমার পরী টা কেমন আছে?
মিথিলা-ভালো আছি।এখন তো ঠিক মতো খোজ ও নাও না।তুমি কেমন আছো?
আমি-এইতো ভালো আছি।আরে পাগলী বুঝতেছনা কেন নতুন ব্যবসা শুরু করছি আবার সামনে পরিক্ষা খুব চাপে আছি।তোমাকে সবসময় অনেক মিস করি।
মিথিলা-হুম দুইদিন হলো দেখিনি কালকে কলেজে এসো তো অনেক দেখতে ইচ্ছা করছে।
আমি-দোকান তাহলে অফ করে রাখতে হবে ওকে দেখি কি করা যায়।
মিথিলা-১০ টার পরে কলেজে এসো আর ১ টার দিকে একসাথে বাসায় যাবো।
আমি-আচ্ছা ঠিক আছে সোনা পাখি।
মিথিলা-আই লাভ ইউ জান।
আমি-আই লাভ ইউ টু বাবুর আম্মু।
মিথিলা-আচ্ছা এখন ঘুমাও।
আমি-আচ্ছা জান পাখি গুড নাইট।
মিথিলা-গুড নাইট উমমমমাহ।
তারপর ঘুমিয়ে পড়লাম দুজনেই।
-
সকালে ঘুম থেকে উঠে একদম রেডি হয়ে দোকানে গেলাম কলেজে জাওয়ার জন্য।তারপর ১১ টার দিকে কলেজে গেলাম দেখি মিথিলা ক্লাস করছে।ক্যম্পাসে সাগর আমাকে দেখে বললো কিরে কি খবর তোর দেখায় জায়না আর।
আমি-দোস্ত জানিস তো নতুন ব্যবসা করতেছি আবার সামনে তো পরিক্ষা একটু চাপে আছি।
সাগর-হুম তো বিয়ে কবে বল।
আমি-এইতো ৪/৫ মাসের মধ্যেই হবে।
সাগর-ইনভাইট করতে কিন্তু ভুলবিনা।
আমি-তোরা আমার বেস্ট ফ্রেন্ড তোদের ইনভাইট কেনো করবো এমনিতেই চলে জাবি।
সাগর-তুই না বললেও চলে জাবো তোর বিয়ে খাইতে।
আমি-তুই কি খাওয়া আর লুচ্চামি ছাড়া কিছু বুঝস।
সাগর-আমি ভালো হয়ে গেছি লুচ্চামি করিনা।অপমান করবিনা আর।
আমি-ভুতের মুখে রাম রাম।আচ্ছা থাক দেখি মিথিলার ক্লাস শেষ হয়ে গেছে ওর সাথে দেখা করবো।
সাগর-আচ্ছা জা।
-
তারপর মিথিলার কাছে গেলাম।
আমি-কি অবস্থা কেমন আছো।
মিথিলা-ভালো আছি তুমি কেমন জেনো শুকায় গেছো ঠিকমতো কি খাবার খাওনা নাকি।
আমি-খাইতো বাট তোমার অদরের অভাবে চিকন হয়ে জাচ্ছি।
মিথিলা-জাহ তোমার কি লজ্জা নাই।
আমি-পরী টা কিছুদিন পর আমার বউ হবে লজ্জা কিসের লজ্জা তো নারীর ভূষন।
মিথিলা-আম্মুতো রাজি এখন আব্বুকে জানানো হয়নি।
আমি-হুম পরী বউ কিছুদিন পর জানিয়ে আমার বউ করে বাসায় নিয়ে জাবো।
মিথিলা-আমার জন্য এতো কিছু করতেছো কষ্ট হচ্ছেনা তোমার।
আমি-ভালোবাসার মানুষের জন্য কিছু করতে ভালোই লাগে করা কষ্ট হয়না পাগলী।
মিথিলা-আমার কপাল খুব ভালো তোমার মতো কাওকে পাবো।
আমি-তাই নাকি।
তারপর কথা শেষ করে দুজন বাসায় চলে গেলাম।
ব্যবসা আর স্টাডির চাপে মিথিলাকে আগের মতো আর টাইম দিতে পারছিনা।কলেজে যাওয়া হচ্ছে না খুব একটা।কিছুদিন কেটে গেলো এভাবেই মিথিলা রাত ৮ টার দিকে ফোন দিলো বলতেছে চকলেট খাইতে ইচ্ছা করছে আর তোমাকে দেখবো।
আমি-হুম কিন্তু এখন তো একটা কাজ করছি।
মিথিলা-১০ টার পরে আইসো।
আমি-এতোরাতে কিভাবে দেখা করবো।
মিথিলা-আরে আম্মু ঘুমাই যাবে আমি গেইট খুলে দিবো।
আমি-না গেলে কি হয়না।
মিথিলা-না আসতেই হবে।
আমি-আচ্ছা ঠিক আছে।
তারপর আমি কাজ শেষ করে সোহাগ কে বললাম তুই মিথিলাদের বাসার কাছে নামিয়ে দিয়ে আয়।তারপর সোহাগ নামায় দিয়ে আসলো।
আমি চুপিচুপি ওদের বাসার সামনে গেলাম অনেক টা ভয়ে ভয়ে।মিথিলা এসে গেইট খুলে দিলো তারপর ওর রুমে গেলাম।
মিথলা-এতো ঘামতেছো কেনো।
আমি-জদি কেও দেখে ফেলতো।
মিথিলা-দেখেনি তো আস্তে কথা বলো,তোমার জন্য রান্না করে রেখে দিছি আমার রুমে আসো খেয়ে নাও।
আমি-তাই নাকি কি রান্না করছো অনেক খুদা লাগছে।আম্মু খাওয়ার জন্য ফোন দিছিলো আমি বলছি যেতে অনেক দেরি হবে।
মিথিলা-গরুর মাংস আর পোলাও,আমিতো অতো ভালো রান্না করতে পারিনা।
আমি-খেয়ে দেখি আমার বউটা কেমন রান্না করতে পারে।
মিথিলা-হুম আসো আমি তোমাকে খাইয়ে দিচ্ছি।
আমি-বিয়ের পর অনেক মোটা হয়ে জাবো।
মিথিলা-কেনো।
আমি-তুমি খাইয়ে দিবা তাই।
(তারপর মিথিলা আমাকে খাইয়ে দিচ্ছে আর মিথিলাকে আমি খাইয়ে দিচ্ছি)
মিথিলা-এই হা করো এভাবে কি দেখো।
আমি-উফফ আমার বউটাকে দেখছি ডিস্টার্ব করো কেনো।
মিথিলা-হুম খেয়ে নাও তারপর দেইখো।
(দুজনেই খাওয়া শেষ করলাম)
আমি-মিথিলা আই লাভ ইউ।
মিথিলা-আই লাভ ইউ টু (বলে জরিয়ে ধরল)।
আমি-আলতো করে ওর কপালে একটা কিস করলাম।মিথিলা এখন ছাড়ো।
মিথিলা-কেনো ছাড়ব।
আমি-দেখো আমি যদি তোমাকে জড়িয়ে ধরি তাহলে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারবোনা।আর আমি চাইনা আমাদের ভালোবাসা টা অপবিত্র হোক।
মিথিলা-হুম তাহলে আর একটা কিস করো।
আমি-আচ্ছা পাগলী দুই গালে দুইটা করি উমমাহ উমমাহ হয়ছে।
মিথিলা-হুম এখন আমার চকলেট দাও।
আমি-তারপর পকেটে থেকে ৫ টা কিটকাট বের করে দিলাম।সে চকলেট পেয়েই মহাখুশি।
মিথিলা-আর কিছুখন থাকো।
আমি-না গো আম্মু টেনশন করবে,সোহাগ ও তোমার বাসার পাশে চলে আসছে মেসেজ দিছে চলে জেতে হবে।
মিথিলা-আচ্ছা জাও (রাগ করে)।
আমি জরিয়ে ধরে একটা কিস দিয়ে বললাম এখন জাই সোনা পাখি প্লিজ।আচ্ছা বাসায় গিয়ে ফোন দিও।তারপর মিথিলার বাসা থেকে বের হলাম সোহাগ বাইক নিয়ে এসে তুলে নিল।
-
সোহাগ-ভাই এতোতারাতারি হয়ে গেল আমি ভাবছি দুইটা বাজবে।
আমি-চুপথাক ফালতু কথা বলবিনা।
সোহাগ-বুঝি সব বুঝি।
আমি-কি বুঝোস তুই তো জানিস আমি ওকে কতোটা ভালোবাসি আমার ভালোবাসা পবিত্র ছিলো এখনো আছে।
সোহাগ-ভুল করলি আমি হলে সুযোগ মিস করতামনা।
আমি-এজন্যই তো আমি তুই না।এখন চুপচাপ বাইক চালা।
তারপর বাসায় চলে আসলাম।
খুব ঘুম পাচ্ছিল ঘুমিয়ে পড়লাম।
সকালে ফোন হাতে নিয়ে দেখি মিথিলা ফোন আর মেসেজ দিছিলো।আচ্ছা পরে কথা বলবো এখন তারাতারি দোকানে জাইতে হবে।এমন ব্যস্ততার মধ্যেই কিছুদিন চলে গেল মিথিলাকে খুব একটা টাইম দিতে পারছিনা,কিন্তু ও অনেক কেয়ার করে আমার।সকালে ফোন দিয়ে ঘুম থেকে তুলে দেই খাওয়ার টাইমে ফোন দেই।মোটামুটি ভালোই চলতেছিল আমাদের।হঠাৎ করে কিছুদিন হলো মিথিলা আমাকে আগের মতো কেয়ার করেনা কেন যেনো মনে হলো ইগনোর করছে আমাকে।বুঝলাম না কি হয়ছে মিথিলার আচ্ছা ফোন দেই তো।
ফোন দিয়ে দেখি ওয়েটিং কয়েকবার ফোন দিলাম বাট ২০/২৫ মিনিট পরে রেসপন্স পাইলাম।
আমি-কখন থেকে ফোন দিচ্ছি কার সাথে এতক্ষন কথা বলতেছিলা।
মিথিলা-আম্মু আন্টির সাথে কথা বলতে ছিলো তাই।
আমি-হুম আর কয়েকদিন হলো তুমি এমন করতেছো কেনো খোঁজখবর ও নাওনা ঠিকমতো।
মিথিলা-এমনিতেই তুমিও তো নাওনা আমার খোজ।
আমি-তুমি তো জানো আমি বিজি থাকি।
মিথিলা-আচ্ছা তোমার বিজি নিয়েই থাকো আমি ঘুমাবো।
-
কল কেটে দিল মিথিলা।আমি আবার কল দিলাম কেটে দিল।তাই আর কল দিলাম না।ভাবতেছি মিথিলা তো এমন করে কথা বলেনা কি হয়ছে ওর, কয়েকদিন হলো এতো চেঞ্জ হয়ে গেছে বুঝতেছিনা অনেক টেনশন মাথায় ঘুরতে থাকল।
মিথিলা চেঞ্জ হওয়ার কারন কি আমাকে জানতেই হবে,,,,,,,
-
-
আপনাদের যদি ভালোলেগে থাকে অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না,যদি ভালো না ও লেগে থাকে জানাবেন প্লিজ,লাইক কমেন্ট দিয়ে সাথে থাকবেন।আপনাদের ভালোলাগার গুরুত্ব দিয়েই পরবর্তী পর্ব নিয়ে হাজির হবো।
-
ধন্যবাদ।