স্বার্থপর পরী গল্প ১১


স্বার্থপর পরী  গল্প

পর্ব-১১

পরের দিন সকালে কলেজে গেলাম।মিথিলা কলেজে ওর সাথে দেখা না করে সাগরের সাথে দেখা করলাম।
-
আমি-দোস্ত মিথিলা কি কলেজে কোন ছেলের সাথে কথা বলে বা ওর অস্বাভিক কোন আচরণ করতে দেখিশ কি।
সাগর-না কোন ছেলের সাথে কথা বলেনা।
আমি-কলেজ এসে কি ঠিকমতো ক্লাস করে।
সাগর-হুম বাট মিস ও করে দুই একটা।
আমি-ওহহ।
সাগর-কেনো কিছু কি হয়ছে?
আমি-হ্যা কেমন যেনো করতেছে কয়েকদিন হলো মনে হচ্ছে ইগ্নোর করে।
সাগর-ওহ দেখ কি হয়ছে কথা বলে।
আমি-হুম থাক দেখি ওর সাথে কথা বলে।
-
তারপর আমি উপরে চলে গেলাম ক্লাস চলতেছিল আমি ১০ মিনিট ওয়েট করলাম ক্লাস শেষ হওয়ার কোন খবর নাই।তাই ক্লাস রুমে গেলাম সারকে সালাম দিলাম বললাম স্যার মিথিলার একটু বাসায় যেতে হবে তারপর স্যার বললো আচ্ছা নিয়ে জাও।
মিথিলা আসল।রাগি ভাব নিয়ে তাকিয়ে আছে।
মিথিলা-তুমি ক্লাস থেকে বের করে আনলা কেনো।
আমি-কি হয়েছে তোমার মনে হয় খুব বিজি থাকো এমন করতেছো কেনো।
মিথিলা-কয়েকদিন হলো আমার ভালো লাগছেনা,আচ্ছা সরি।
আমি-আর এমন হবে না তো।
মিথিলা-না গো হবে না।
আমি-চলো আজকে কোথাও ঘুরতে জাই।
মিথিলা-না যাবো না অন্য একদিন যাবো।
আমি-(জোর করলাম না)আচ্ছা ঠিক আছে।
-
তারপর বাসায় চলে আসলাম দুজনেই।
তারপরেও মিথিলা কিছু একটা লুকাচ্ছে আমার কাছে কি লুকাচ্ছে বুঝলাম না।আর এমন কেনো করবে কারন আমাদের কথা ওর আম্মু,আপু,দুলাভাই সবাই জানেন।না আমারি ভুল হচ্ছে হয়তো রাগ করছে,না ওকে বেশি করে টাইম দেওয়া উচিত।মেয়েরা তো ভালোবাসা না পাইলে পাগলামি করে।
বিকেলে ফোন দিলাম।
আমি-কি করো পরী।
মিথিলা-এইতো বসে আছি,আমার জন্য তাহলে টাইম আছে তোমার।
আমি-আচ্ছা তোমার জন্যই তো এইসব করছি টাইম নাই মানে কি,আমার ব্যবসা সামলাতে হচ্ছে আবার সামনে পরিক্ষা কোচিং, স্টাডি বুঝতেছোনা কেন অনেক চাপে আছি।
মিথিলা-হুম সরি,আমার জন্যই তো সব করছো,খুব কষ্ট হচ্ছে তোমার তাইনা।
আমি-আরে না তোমার জন্য করছি জন্যই ভালো লাগছে কিন্তু তুমি যে রাগ করো এইটাতে অনেক কষ্ট পায়।
মিথিলা-আচ্ছা আর রাগ করবোনা জান।
আমি-আই লাভ ইউ সোনা পাখি।
মিথিলা-আই লাভ ইউ টু।
আমি-আমার শাশুড়ী আর সালা কেমন আছে।
মিথিলা-ভালো আছে কিন্তু তোমার শালা বাবু অনেক পাকনামি করে খুব জালায় আম্মু আর আমাকে।
আমি-হুম দেখতে হবেনা শালা টা কার।
মিথিলা-হুম তোমার কথা অনেক বলে,তুমি ওরে চকলেট দাও এইটা ওইটা দাও জন্য আম্মুর কাছেও বলে তুমি অনেক ভালোবাসো।
আমি-তাই নাকি আচ্ছা খাইছো দুপুরে?
মিথিলা-না তুমি খাইছো?
আমি-হুম খাইছি,আমার তো পাতলু বউ লাগবেনা খেয়ে খেয়ে মটু হও।তারাতারি খেয়ে নাও।
মিথিলা-তাই মোটা হয়লে তো সবাই মুটকি বলবে।
আমি-আগে তো হও।আচ্ছা এখন খেয়ে নাও পরে কথা হবে ওকে সোনা পাখি।
মিথিলা-আচ্ছা ঠিক আছে।
তারপর কথা শেষ করে দোকানে মনোযোগ দিলাম।ইদানীং ওর সাথে বেশিই কথা বলি।খুব ভালোবাসি পাগলী টাকে।
একদিন খাবার টেবিলে আম্মু খেতে দিয়ে বলতেছে।
আম্মু-তুই নাকি কোন মেয়ের সাথে প্রেম করিস।
আমি-না তো কে বলছে তোমাকে।
আম্মু-আমি সব শুনছি।
আমি-কে বলছে তোমাকে।
আম্মু-তুই কি ভাবিস আমি তোর খোঁজ রাখিনা।কিন্তু যায় করিস ভেবে চিনতে করিস।
আমি-মেয়েটা অনেক ভালো আম্মু আর আমি অনেক ভালোবাসি।
আম্মু-তাইতো বলি ছেলে আমার হটাৎ ব্যবসা কেনো করতে চাইছে।আচ্ছা তুই চিন্তা করিস না আমি তোর সাথে আছি।
আমি-ওকে আম্মু থ্যাংকস।
আম্মু-হুম মেয়েটার নাম কি?
আমি-মিথলা নাম আমাদের কলেজেই পরে ফাস্ট ইয়ারে।
আম্মু-ছবি আছে কি থাকলে দেখা তো।
আমি-হুম আছে এইজে এইটা মিথিলা(ওর একটা পিক আম্মুকে দেখালাম)।
আম্মু-অনেক সুন্দর দেখতে তুই মন দিয়ে পড়াশোনা আর ব্যবসা কর তোর পরীক্ষার পরে,তোর আব্বুকে বলে বিয়ের ব্যবস্থা করবো।
আমি-ওকে আম্মু লাভ ইউ।
আম্মু-এখন খেয়ে ঘুমিয়ে পড়।
আমি-আচ্ছা ঠিক আছে।
-
খুব খুশি লাগতেছে মনের মধ্যে আম্মু অনেক সহজেই রাজি হয়ে গেলো।তাহলে বিয়েটা হয়েই জাচ্ছে।
মিথিলাকে ফোন দিলাম।
আমি-কি করে আমার সোনা পাখি।
মিথিলা-ঘুমাবো আমার অনেক ঘুম পাইছে।কালকে কথা বলবো।
আমি-আচ্ছা ঠিক আছে।
বুঝলামনা ১১ টা এখনো বাজেনি আর ওর নাকি ঘুম পাইছে।হুম হয়তো ভালো লাগছেনা তাই,বলা হলো না যে আম্মু কে সব বলছি আম্মু রাজি।থাক কালকে বলবো।ঘুমিয়ে পরলাম।
পরের দিন মিথিলাকে ফোন দিলাম রাত ৯ তার দিকে দেখি ওর ফোন বিজি।ওর ওয়েটিং চালু করা নাই আর আমাকে তো ব্লক করবেনা।আবার ফোন দিলাম বিজি।৩০ মিনিটের বেশি ব্যস্ত পাইলাম পরে আমার ফোন ধরল।
আমি-এতখন কার সাথে কথা বললা সেই কখন থেকে ফোন দিচ্ছি।
মিথিলা-আম্মু আপুর সাথে কথা বলতেছিল।
আমি-ও আচ্ছা কথা বলা হয়েছে এতক্ষণ কথা বললো।
মিথিলা-হুম হয়েছে।
আমি-কেমন আছো তুমি?
মিথিলা-ভালো আছি।
কিছুক্ষণ কথা বলে কথা শেষ করলাম।আচ্ছা মিথিলার কথার মধ্যে মিথ্যা মিথ্যা আভাস পাইলামনা।আর ওর আম্মুর তো ফোন আছে ওর ফোন দিয়ে কেনো কথা বলবে।তারপর ওর আপুর কাছে ফোন দিয়ে জানতে পারলাম মিথিলার আম্মুর সাথে আপুর কোন কথা হয়নি।আমার সন্দেহ হতে শুরু করলো।মিথিলাকে আজকে আর কিছু বলবোনা।পরেরদিন রাতে ফোন দিলাম সেইম আজকেও ওয়েটিং।মনটা অনেক খারাপ হয়ে গেলো মিথ্যা কেনো বলছে আমার সাথে।৩৫ মিনিট পর ওর ফোনে কল গেলো।মিথিলা ফোন ধরল।
আমি-আজকে কি আপুর সাথে কথা বলছিলে ৩৫ মিনিট ধরে।,,,,,,,,
-
আপনাদের যদি ভালোলেগে থাকে অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না,যদি ভালো না ও লেগে থাকে জানাবেন প্লিজ,লাইক কমেন্ট দিয়ে সাথে থাকবেন।আপনাদের ভালোলাগার গুরুত্ব দিয়েই পরবর্তী পর্ব নিয়ে হাজির হবো।
-
ধন্যবাদ।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url