স্বার্থপর পরী গল্প ২


 

স্বার্থপর পরী গল্প


পর্ব - ২
-
বিকেল ৫.৩০ মিনিট খুব মনের মধ্যে খারাপ লাগছিল।বাসা থেকে বের হলাম সোহাগ কে বললাম চল মিথিলাদের বাড়ির ওইদিকে যাবো।তারপর আমি আর সোহাগ মিথিলাদের বাড়ির রাস্তায় গেলাম ওদের বাড়ি রাস্তার পাশেই।আর আমাদের বাড়ি থেকে ওদের বারি ১ কি.মি. এর পথ।তো ওদের বাড়ির পাশে যেতেই দেখি ও বাহিরে বসে আছে।
-
মিথিলা-সোহাগ ভাইয়া এইদিকে কোথায় যাচ্ছেন।
সোহাগ-এইতো ঘুরতে আসছি।
আমি-ওরে জিজ্ঞেস কর ওর জর কমছে কিনা।
সোহাগ-মিথিলা তোমার জর কি কমছে এখন কেমন আছো?
মিথিলা-এখন ভালো আছি জর কমছে।
সোহাগ-আচ্ছা তাহলে থাকো বাসায় জাবো।
-
তারপর ওদের এইদিকে থেকে চলে আসতেছি আমাদের বাসায়।
-
আমি-আচ্ছা তুই তো ওকে জিজ্ঞেস করলিনা কালকে স্কুলে আসবে কিনা।
সোহাগ-কালকে কি বার মনে আছে তোর শুক্রবার কালকে স্কুল ছুটি।
আমি-ও আমি তো কালকে চলে যাবো ৩দিন পর থেকে পরীক্ষা।
সোহাগ-ভালো স্টুডেন্ট টেনশন কিসের পরীক্ষা দিলেই ভালো রেজাল্ট।
আমি-ধ্যাত আমি কি পরীক্ষার টেনশন করতেছি আমার পরিটাকে তো আর দেখতে পারবোনা।
সোহাগ-আচ্ছা আমি বাসায় গেলাম তুই ও বাসায় চলে যা।
-
তারপর বাসায় চলে আসলাম রাতে কিছুতেই ঘুমাতে পারলাম না পরিটাকে খুব মিস করতেছিলাম।রাত ১ টার দিকে ঘুমালাম।
মিথিলা-আমার পিছে এতো ঘুরে লাভ নাই আমি প্রেম করবোনা।
আমি-কেনো পরি আমি তো তোমাকে অনেক ভালোবাসি।
মিথিলা-আমি অন্য কাওকে ভালোবাসি আপনি আর আমাকে ডিস্টার্ব করবেন না।
আমি-কি বলবো বুঝতে পারলাম না।
-
ঘুম ভেঙে গেল দেখি রাত ৩.২২ মিনিট।আমার পুরা শরীর ঘেমে গেছে স্বপ্ন দেখছিলাম এক গ্লাস পানি খেয়ে আবার ঘুমালাম।
সকালে আম্মুর ডাকে ঘুম ভাংল।
আম্মু-৯ টা বাজে ঘুম থেকে উঠে খেয়ে নে আর তোর নানুদের বাসায় চলে জা দুইদিন পরথেকেই তো পরিক্ষা।
আমি-আচ্ছা আম্মু ঠিক আছে।
-
তারপর পর আমি নানুদের বাসায় চলে আসলাম পড়ালেখায় মনোযোগ দিলাম।দেখতে দেখতে পরিক্ষা শেষ হয়ে গেল।পরিটাকে খুব মিস করতাম মোটামুটি ভালো পরিক্ষা দিলাম রেজাল্ট দিল ৪.৬০ পাইলাম।আর আমার পরি টা ক্লাস টেনে উঠল,আর আমি ইন্টার ফাস্ট ইয়ার কলেজে ভর্তি হয়ে গেলাম।
পরিটার খোজ নেওয়া হয়না তেমন একটা সোহাগ কে ফোন দিলাম।
-
আমি-কিরে কেমন আছিস,আমার পরিটার কি খবর।
সোহাগ-ভালো আছি কিন্তু একটা কাহিনি হয়ে গেছে।
আমি-কি কাহিনি তোর গার্লফ্রেন্ড কি অন্য কারো সাথে পালাইছে নাকি প্রেগন্যান্ট?
সোহাগ-আরে না শুনলে তোর মন খারাপ হয়ে যাবে।
আমি-কি হয়ছে বল আর মিথিলার কি খবর তাই বল?
সোহাগ-মিথিলা তো প্রেম করতেছে।
আমি-প্রেম করে মানে কি বলিস কার সাথে?
সোহাগ-ওদের সাথেই পরে জিহাদ নাম ছেলেটার।
-
কিছু না বলেই ফোন টা কেটে দিলাম মনটা অনেক খারাপ হয়ে গেল।খুব আপসোস করলাম কেনো যে ওকে বললাম না আমার মনের কথা।
তারপর ভিষণ মন খারাপ নিয়ে আমি মনে মনে ছেকা খেয়ে গেলাম কি করবো কিছু ভালো লাগেনা।
প্রেম না হতেই যে ছেকা খাওয়ার ব্যাথা এতো তীব্র না জানি প্রেম করার পর ছেকা খাইলে কি হত মনে হয় মরেই যেতাম।
-
আমি এখন একটা না বলা ব্যর্থ প্রেমিক।
-
দোস্ত দে একটা সিগারেট কেমন লাগে খেয়ে দেখি।
-
সজিব-তুই না কখনো সিগারেট খাছনা সিগারেট নিয়ে কি করবি।
আমি-আজকে থেকে খাবো কখনো খাইনাই জন্য কি খেতে পারিনা।
সজিব-না এইসব খাইতে হবে না।
আমি-জোর করে নিয়ে একটা সিগেরেট ধরালাম।এইটা মানুষ খাই কেমন করে মাথা ঘুরতেছে আমার।
সজিব-ফাস্ট খাচ্ছিস তো তাই এমন লাগছে আস্তে আস্তে অভ্যাস হয়ে যাবে।
আমি-এই নে আমি আর খেতে পারবোনা আজকে তাইলে আমি শেষ।বাসায় যাবো।
সজিব-আচ্ছা যা তাহলে কালকে কলেজে আসিস।
আমি-আচ্ছা ঠিক আছে।
-
আমি আগে কোনদিন সিগারেট খাইতাম না বাট না বলা প্রেমিকার ছেকা খেয়ে সিগারেট এ টান দিতেছি দেখি যদি একটু কষ্ট টা কমে তাও।
তারপরে আমার লাইফে অনেক মেয়ে আসছে কিন্তু মিথিলা আমার পরির মত কাওকে ভালোলাগেনি।আচ্ছা কেনো ভালো লাগেনি হয়তোবা আমার না বলা ভালোবাসা টা মনের আজান্তে সত্যিকারের ভালোবাসা হয়ে গেছিল।
-
কলেজে যেতাম কিন্তু অনেক মন মরা হয়ে থাকতাম।বন্ধুরা বলতো ইন্টার ন্যশনাল ছেকাখোর।
আমার মনের মধ্যে আর কোন প্রেম ভালোবাসা ছিলনা যা ছিল শুধু মিথিলা আমার পরিটার প্রতি। না পাওয়া ভালোবাসা তবুও আমার পরিটাকেই ভালোলাগতো।ওকে ভুলতেই পারতেছিলাম না আমার স্বপ্নে পরি ছাড়া আর কেও নেই তাকে নিয়ে আমার কতশত স্বপ্ন সেগুলো না হয় না বলি।
-
দেখতে দেখতে পরিবিহীন ১ টা বছর চলে গেল।আমি ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে উঠলাম।পরি তো এস,এস,সি পরিক্ষা দিছে কলেজে ভর্তি হবে অনেক ভালোই আছে মনে হয় পরি।
-
একদিন কলেজে ইংরেজি ক্লাস করে দোতলা থেকে নামতেই সিড়িতে দেখি আর যা দেখলাম মোটেও প্রস্তুত ছিলামনা.....
-
আপনাদের যদি ভালোলেগে থাকে অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না লাইক কমেন্ট দিয়ে সাথে থাকবেন।আপনাদের ভালোলাগার গুরুত্ব দিয়েই পরবর্তী পর্ব নিয়ে হাজির হবো।
-
ধন্যবাদ।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url