স্বার্থপর পরী গল্প ১



স্বার্থপর পরী গল্প

-পর্ব ১
-
মিথিলা হুম মেয়েটার নাম মিথিলা।তাকে আমার অনেক ভালো লাগে বলতে পারেন অসম্ভব ভালোলাগে।আচ্ছা তাকে আমার কেনো এতো ভালো লাগে, বলতে পারবেননা আপনারা আমি জানি।
-
আমি ক্লাস টেনে পড়ি আর মিথিলা ক্লাস নাইনে পরে।মিথিলা যে স্কুলে পরত আমি সেই স্কুলে পরতামনা অন্য একটা স্কুলে পড়তাম,আমি আমাদের এলাকায় থাকতাম না আমি আমার নানুদের বাসায় থাকতাম আর ওই খানেই পরালেখা করতাম।আর মিথিলা আমাদের এলাকার একটা স্কুলে পড়ত।আমি আমার বাসায় মাঝেমধ্যে জায় তো একদিন গেছি।আমি আর আমার চাচাতো ভাই একসাথে পরতাম আমার কাজিন এর নাম সোহাগ ও মিথিলাদের সাথেই পড়ত।
-
একদিন সকালে ৯ টার আগে সোহাগ আর আমি একসাথে ওদের স্কুলের দিকে যাচ্ছি।কোচিং সেন্টার আছে স্কুলের পাশেই হটাৎ করে দেখি একটা পরি বের হচ্ছে,আমিতো শুধু ওর দিকে তাকিয়ে আছি।
-
সোহাগ-কিরে কি দেখিশ?
আমি-পরি দেখতেচি।অনেক সুন্দর পরি কেনো যে তোদের স্কুলে পরিনা আগে জানলে তোদের স্কুলে ভর্তি হয়ে যেতাম।
সোহাগ-মিথিলা নাম ক্লাস এইটে পরে।অনেকেই প্রপোজ করছে কিন্তু রাজি হয়নি আমিও করছিলাম কাজ হয়নি।
আমি-আচ্ছা জা তোরে মাফ করে দিলাম এখন থেকে ভাবি মনে করবি আর তোর না জিএফ আছে আমার পরির দিকে তাকাবিনা।
সোহাগ-আজকেই না তুই ফাস্ট দেখলি তোর হয়ে গেলো কেমনে?
আমি-মনে মনে আমার হয়ে গেছে তোর এতো বুঝতে হবেনা।
সোহাগ-আচ্ছা আমি স্কুলে ঢুকবো তুই বাজারে জেয়ে জিনিস কিনা নিয়ে জা তারাতারি না হলে চাচি তোর প্রেম বের করে দিবে।
আমি-আচ্ছা আমার পরিটাকে দেখে শুনে রাখিস কোনো ছেলে ডিস্টার্ব না করে।
- তারপর বাজারে চলে আসলাম দোকানে জিনিস কিনতে।
দোকানদার-কি নিবেন ভাই?
আমি-পরি নিবো ভাই এক কেজি।
দোকানদার-কি নিবেন ভাই জোরে বলেন শুনতে পাইনি।
আমি-মনে মনে বলতেছি শুনতে পাইনি শুনতে পাইলে পাগল বলতো।ভাই এক কেজি লবন,সয়াবিন তেল,মসলা এইটা ওইটা ইত্যাদি দেন।
দোকানদার-আচ্ছা ভাই দিচ্ছি।
তারপর বাজার থেকে বারিতে চলে আসলাম।
আম্মু-কিরে জয় এতো দেরি হলো কেনো?
আমি-আম্মু রাস্তায় অনেক জ্যাম ছিলো তো তাই এতো দেরি হয়ে গেল।
আম্মু-এইটা কি ঢাকা শহর তুই জ্যাম কোথায় পেলি।
আমি-তুমি বুঝবানা জাওতো রান্না করো অনেক খুদা লাগছে।
আম্মু-আচ্ছা তুই রুমে জা আমি রান্না শেষ করে ডাকছি।
আমি-আচ্ছা আম্মু ঠিক আছে।রুমে গিয়ে পরিটার হাসি ভরা মুখটা চোখের সামনে ভেসে উঠলো উফফ কি সুন্দর হাসি দেখলেই পাগোল হয়ে যাওয়ার মত।
- তারপর খেয়ে একটু ঘুমালাম।
ঘুম থেকে উঠে দেখি ২ টা বাজে।হটাৎ মনে হলো পরি মানে মিথিলার তো স্কুল ৪ টায় ছুটি হবে।
- তারপর দুপুরে খাবার খেয়ে ৩টার দিকে রেডি হয়ে পরির স্কুলের কাছে চলে গেলাম ১ ঘন্টা অপেক্ষা করলাম।শুনলাম স্কুলে ছুটির ঘন্টা বুকের মধ্যে ধক করে উঠলো।সবাই বের হলো আমার পরি টা কই।এইতো সোহাগ বের হয়ছে।
-
সোহাগ-কিরে তুই কি করিস।
আমি-পরি টাকে দেখতে আসলাম কই পাইলাম না তো?
সোহাগ-মিথিলা তো অসুস্থ টিফিনে ছুটি নিয়ে চলে গেছে।
আমি-কি হয়ছে ঠিক আছে তো নাকি বেশি অসুস্থ?
সোহাগ-মনে হয় একটু জর হয়ছে বেশি কিছুনা।
আমি-আচ্ছা তাহলে চল বাসায় জায়।পরির জন্য অনেক মন খারাপ হয়ে গেল ভাবতেছি ও কি বেশি অসুস্থ কিছু হবেনা তো ওর।
আচ্ছা আমি ওকে আজকেই দেখলাম আর আজকেই ওর জন্য কষ্ট পাচ্ছি আমি কি ওকে ভালোবেসে ফেলছি।
ভাবতে ভাবতে বারিতে চলে আসলাম।
আমার পরি এখন কেমন আছে ও কি সুস্থ হয়েছে আমি তো কিছু জানিনা কি যে করি টেনশনে পড়ে গেলাম.......
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url