অদ্ভুত প্রেম কাহিনি

আব্বব্বব্বব্বব্বায়ায়া আব্বা গো

আপনার পায়ে পরি

আপনার বয়সের দোহাই লাগে

আপনার চুলে করা কলপের দোহাই লাগে

আমার বিয়া রিকশা আলার লগে দিয়েন না

আমি এই রিকশা আলা রে বিয়া করুম না গো

আব্বব্বব্বব্বা

আম্মউউউউউউউ

আব্বুরে বুঝাও না কে

তুমি ও কি শেষ মেষ ওই রিকশা আলারে জামাই মাইনা নিলা

আমম্মমউউউ

কিছু কও কেন.....

এমনে তোমার মুখ দিয়া বন্দুকের বুলেট চলে

একদম

ধার ধার কইরা

আর এখন চুপ কে.....

তোমার মুখে কি কেউ সাইলেন স্যার লাগাইয়া দিসে

আম্মুঃ নিশা চুপ

তোর আব্বু যা বলতেসে তাই হবে

আম্মুউউউ

তুমি ও ওই রিকশা আলারে জামাই মানলা কেমনে

তোমার কি জ্ঞান বুদ্ধি সব

কি ওই

B B budget এর হোল সেলে কি বিক্রি করে আইসো নাকি

আম্মুঃ

আব্বুঃনিশা চুপচাপ রেডি হয়ে নাও

আর কোন নাটক আমি দেখতে চাই না

তাড়াতাড়ি নিচে নেমে এসো।

এই বলে আমার বাপ আমার জন্মধাত্রী চলে গেল

আর আমি

অবলা লাচার মেয়ের মত বসে কান্না করতেসি

কেন

আমার সাথে ওই রিকশা আলার বিয়া দিতাসে আব্বায়

আমি কত নিরীহ

নির্জীব প্রানি

আমার মত নিরীহ প্রানিকে কেন এত কিছু সহ্য করতে হয়

আর তখনি

সানজিনঃ ওই আপু

চলো নিচে

তোমার রিকশা আলা জামাই তোমার জন্য ওয়েট করতেসে

এই বলে সানজিনের বাচ্চা হেসে কুটি কুটি

আমিঃ ওই শেওড়া গাছের পেত্নি

বেতালের বউ

তোর দাত কেলানি বন্ধ কর নাইলে তোর সব দাত

আমি

হাতুড়ি দিয়া ভাঙ্গমু কইয়া দিলাম

সানজিন ঃ আপু তোর সাথে রিকশা আলা ট্রেজিডি হয়ে গেল

এখন কি ফায়ার সার্ভিস কে কল দিব আপু

এই বলেই সানজিন

আবার

ওই বেতালের বউ

মানে শেওড়া গাছের পেত্নির মত হাসা শুরু করলো

আমি রেগে মেগে

ওর দিকে যেতে নিলেই ও

একদম হুসাইন বোল্টের মত এক দৌড় দেয়

আর তখনি

আমার আম্মা জান এসে আমার হাত ধরে

নিচে নিয়ে যায়

রীতি মত আমারে কসাইয়ের মত টাইনা নিয়া যাচ্ছে

মনে হইতাসে

আমি কুরবানির গরু

আর এখন আমাকে হালাল করা হবে.......

আমি নিচে যেতেই

দেখি একটা কালো কুচ কুচে লোক

লুঙ্গি আর পাঞ্জাবি পড়ে দাঁড়িয়ে আছে

আর আমার দিকে তাকিয়ে ৩২ দাত বের করে হাসতেসে

আমি এ দেখে চিৎকার দিসি

আর তখনি আমার ঘুমটা ভেঙে গেল

আমি ধড়ফড়িয়ে উঠে বসলাম

আল্লাহ কি ছিল এইটা

তার মানে স্বপ্ন ছিল

আল্লাহ বাচাইসে

আমি যেন হাফ ছেড়ে বাচলাম

নিজের দিকে ভালো মত তাকিয়ে দেখি আমি ঘেমে একাকার

আর ফ্যানের দিকে তাকিয়ে দেখি ফ্যান অফ করা

এই রাজাকারের মত কাজ একমাত্র আমার আম্মা ই করতে

পারে

স্বপ্নে ও

আমার বাপ পাকিস্তানি

সেনাদের জেনারেলের সাথে মিলে

রাজাকারের মত করসে আমার লগে

আমার আম্মা

আমি ফ্রেশ হয়ে

রুম থেকে বের হতেই দেখি আমার আম্মা রান্না ঘরে

আমি গিয়ে ডাইনিং টেবিলে বসতেই দেখি

আমার অপজিডে

পাকিস্তানি জেনারেল মানে আমার আবব্বা বসে আছে

আর তার সাথে আমাদের বাসার শেওড়া গাছের পেত্নি ও আছে

আমি কোন কিছু না বলে নাস্তা করতেই যাব

আর তখনি

পাকিস্তানি জেনারেল

মানে আমার আব্বা

ঃআজ যে তোমার HSC এর রেজাল্ট দিবে মনে আছে তোমার? ( আব্বু)

আমি আব্বুর কথা শুনে

বরফ হয়ে গেলাম

ঃ রেজাল্ট এর যেন কিছু ওলট পালট না হয়

নাইলে তোমার মনে আছে তো কি হবে?( আব্বু)

আর তখনি পেত্নিটা

বলে উঠে

যদি আপু পাশ না করে তবে আপুর বিয়ে রিকশা ওলার সাথে দিবা তাই না আব্বু

আব্বুঃ হুম

আর তখনি আমার আজকের স্বপ্নের কথাটা মনে পড়ে যায়

আর আমার আত্মার সব পানি শুকিয়ে

মরুভূমি হয়ে যায়

কি হবে আমার

আল্লাহ আমারে রক্ষা কইরো

আমার বিয়া টা রিকশা ওলার সাথে যেন না হয়

শুধু টাই না টুইনা খালি পাশ মার্কস টা তুইলা দিও

আর তখনি আমার মা জননী

এসে আমার ধ্যান ভাঙ্গিয়ে

আমার হাতে একটা ফোন ধরিয়ে দিয়ে চলে যায়

ঃহ্যালো(আমি)

আনিসা ঃওই শালি কই তুই

আমিঃ আমি পাক বাহিনী গো লগে যুদ্ব করতাসি হারামি

আনিসাঃ রাখ তোর যুদ্ধ জলদি কলেজে আয়

জানস না আজ রেজাল্ট দিব

আমিঃ চুপ কর হারামি

আর একবার ও রেজাল্টের কথা কইলে তোরে আমি ফোনের ভিতরে ঢুইকা

তোর মুখে আমি ফেবিকল মারুম কইয়া দিলাম

আনিসাঃ বান্দরি চুপ কর জলদি কলেজে আয়

আমিঃ হ আইতাসি আমি

ফোনটা রাখ এবার

আইতাসি আমি

ফোনটা রেখে আমি রেডি হয়ে কলেজের জন্য রওনা দিলাম

আজ রিকশা না বাসে কলেজে যাইতাসি

রিকশা

দেখলেই আমার কলিজা শুকাইয়া যাইতাসে আমার

অবশেষে কলেজে

আসলাম

কলেজে আসতেই আনিসার সাথে দেখা করলাম

আর তখনি

দেখি রেজাল্ট টানিয়ে দিয়ে গেল

আমি রেজাল্ট দেখে ভয়ে কুকিয়ে গেলাম

আনিসাঃকি রে চল রেজাল্ট দিয়ে গেসে দেখবি না তুই

আমিঃ চুপ কর বিক্রমের বউ

তুই যা রেজাল্ট দেখ আমি এখানে আছি

আনিসা রেজাল্ট দেখতে গেল

আর আমি যত দোয়া দূরুত আছে সব একসাথে পড়া শুরু করলাম

আর তখনি আনিসা

লেডি বান্দরের মত লাফাই তে লাফাইতে আইতাসে

আনিসাঃ জানু আমরা পাশ করসি

আমিঃকি ভালো মত দেখসোস তো

আনিসাঃ হ ভালো মত দেখসি

আমি এ খবর শুইনা

পারি না তো আনিসা রে চুম্মা দেই

খুশির ঠ্যালায় আমি সবাইরে ধইরা ধইরা কোলা কুলি করতাসি

আর তখনি

আমি খুশির ঠ্যালায় আর একজনরে জড়ায়া ধরি

কিন্তু....

কিছুক্ষন পর খেয়াল হল

আমি মনে হয় কোন কারেন্টের খাম্বার মত কাউকে জড়ায়া ধরসি

আমি সাথে আমি ছেড়ে দাড়াতেই দেখি......

চলবে.....